এবার ইউটিউব ফেসবুকের মতো হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও করা যাবে লক্ষাধিক টাকা আয়!! WhatsApp Channel Money Income. nikzone24


এবার ইউটিউব ফেসবুকের মতো হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও করা যাবে লক্ষাধিক টাকা আয়!!
সমপ্রতি বহুল ব্যবহৃত এই অ্যাপটিতে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করেছেন। আর এসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নতুন চ্যানেল খোলা যেখানে বড় বড় তারকা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফলো করার সুবিধা রয়েছে। তবে শুধু সেলিব্রিটি নয় চ্যানেল খুলে সাধারণ ইউজাররাও আয় করতে পারবেন। সামাজিক পরিষদ বাদেও একাধিক উপায় রয়েছে উপর থেকে অর্থোপার্জনে।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে ইউটিউব এর মত হোয়াটসঅ্যাপ থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন। সেই সাথে জানবো কোন বিশেষ নিয়ম মানতে হবে জনপ্রিয় সোশাল হ্যান্ডেল কে কাজে লাগিয়ে অর্থোপার্জন করতে। এতদিন পর্যন্ত হোআটসঅ্যাপ শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেলেও এবার এই এ্যাপটি কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন মেটা। সম্প্রতি whatsapp এ চ্যানেল নামে নতুন একটি ফিচার যুক্ত হয়েছে।

এই ফিচার কে থেকে আয় করা সম্ভব বলে দাবি করছে মেটা। বর্তমান বিশ্বের একশরও বেশি দেশে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়। বিশ্লেষকদের দাবি 2025 সালে প্রায় তিন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তবে ব্যবহারকারী থাকার পরেও আর্থিক লেনদেন ও বিজ্ঞান দেখানোর সমর্থন না করলেও এবার এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আইয়ের সেরা কিছু উপায় খুঁজে বের করতে শুরু করেছেন। তবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সহজ নয়। প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে কিভাবে উপার্জন করবেন তা জেনে নেয়া যাক। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আয়ের অন্যতম মাধ্যম বলা হচ্ছে। সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি বিজ্ঞাপনের মডেল, যেখানে কোম্পানির পণ্য প্রচারের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে। কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক প্রচলনের জন্য এই তৃতীয়পক্ষকে দায় অর্থ বা কমিশন। এছাড়াও whatsapp চ্যানেলের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রচার করতে পারবেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ এর চ্যানেলের মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে ভিডিও বা লিংক শেয়ার করা যাবে। অ্যাপ রেফার করেও আয় করার সুযোগ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে।

আধুনিক যুগে প্রচারণাকে প্রসারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলা হয়ে থাকে। নতুন লঞ্চ হওয়া অ্যাপস গুলো পণ্য প্রচারের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ও জনপ্রিয় মাধ্যম খোঁজে যে সব চ্যানেলের অনেক ফলোয়ার আছেন তারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডের প্রচার করতে পারেন। এইধরনের প্রচারের ফলে ব্রান্ডগুলো চ্যানেল বা ক্রিকেট দের কমিশন দেয়। বিজ্ঞাপণ বিক্রি করে আয় করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে বিজ্ঞাপনেও স্পনসর্শিপ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের পোষ্টের মাধ্যমে আয় করা যায়। এই আয় নির্ভর করে বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশীপের দৈর্ঘ্য এবং চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার দের উপর। এছাড়া এই অ্যাপ কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ওয়ার্কশপ ও ক্লাসের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। চ্যানেল ক্রিয়েট যেকোনো শিক্ষণীয় বিষয় অনলাইন ওয়ার্কশপ বা ক্লাস বা প্রশিক্ষণ পোস্ট করতে পারে চ্যানেলগুলোর বিনিময় ফি চাইতে পারে।

এমন বহু মানুষ আছেন যাদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিশেষ দক্ষতা রয়েছে যেমন রান্না, আঁকা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদি এই সকল বিষয়ের উপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কশপ তৈরি করতে পারেন এবং তার বদলে একটি চার্জ নিতে পারে কাস্টমার দের থেকে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু ভিডিও অডিও কলের সুবিধা রয়েছে তাই one-on-one কোচিং করাতে পারেন। যদি চ্যানেলের বক্তা যোগ্যতা সম্পন্ন হন তাহলে এটি সবচেয়ে সহজ উপায় হোয়াটসঅ্যাপে থেকে আয়ের। তবে পরিকল্পনা সফল করার জন্য চ্যানেলগুলোতে অনেক ফলোয়ার থাকাও দরকার। পরিশেষে ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে whatsapp কে কাজে লাগিয়ে আয় করা যায়। ই-বুক, গাইড, টেমপ্লেট ও অনলাইন কোর্স এর মতো বিভিন্ন পণ্য চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে সহজে ও নির্বিঘ্নে পণ্য ডেলিভারি করা সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ