আমরা 2023 সালে বাস করলেও জাপান বাস করে 2025 সালে। শুনতে অবাক লাগলেও ব্যাপারটা একদিকে সত্য। জাপান এখন যেখানে পৌঁছে গেছে সেখানে 2050 সালে যেতে পারবেনা বিশ্বের অনেকদেশ। প্রযুক্তি, আদব-কায়দা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন নানা দিক থেকে জাপান এতটাই এগিয়ে যে অনেকে বলেন তারা ভবিষ্যতে বাস করছে। আমাদের আজকের আয়োজন জাপানকে ঘিরে, পুরোটা পড়ার পর আপনার মনে হতে পারে আমরা এখনো আদিম যুগে পড়ে আছি। কিভাবে এগিয়ে গেল জাপান?? কেমন সেদেশের জীবনব্যবস্থা??
বিস্তারিত: বিশ্বের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র জাপান। এশিয়া মহাদেশের সর্বপ্রথম সূর্যোদয় হয় জাপানে তাই সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় তাদেরকে। জাপানের জনগণের প্রথম ভোরের সূর্য দেখে তবে শুধু সূর্য নয় পুরো পৃথিবীতেই তারা দেখছে যেন সবার আগে। কারণ এখন যেটা জাপানে বর্তমান সেটাই অনেক দেশের কয়েক যুগ পর ভবিষ্যৎ! প্রতিবছর শত শত ভূমিকম্প হচ্ছে সেখানে তারপরও তারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এদেশটি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের কৌতূহলের সীমা নেই। মূলত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাতিয়ে রেখেছে জাপান, জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় যা বহু মানুষ ভাবতেও পারবে না। আর জন্যই জাপান বাকি সব দেশ থেকে আলাদা। পৃথিবীর কিছু বিখ্যাত গাড়ি গুলো জাপানে তৈরি হয়। বিখ্যাত ইলেকট্রনিক সব কোম্পানিও এই জাপান্র গড়ে উঠেছে যেমন, সনি প্যানাসনিক তশিবা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে যেখানে কয়েক কিলো দূরে যেতে সময় লেগে যায় কয়েক ঘন্টা সেখানে জাপানে এক ঘণ্টাতেই চলে যাওয়া যায় 200 থেকে 300 কিলো। জাপানে তৈরি ট্রেনগুলো পৃথিবীর সবচাইতে দ্রুতগতির ট্রেন যেগুলোকে বুলেট ট্রেন বলা হয়, ঘন্টা এগুলো 240 থেকে 320 গতিতে ছুটতে পারে দ্রুতগতির হলেও কোনো শব্দ নেই এইসব ট্রেনের।
পৃথিবীর সবচাইতে উন্নত ব্যবস্থা তাদের। হোটেলের ওয়েটার হিসেবে কিংবা নানা জায়গাতে রোবট কাজ করে যাচ্ছে সফলতার সাথে। করোনার সময় আইসোলেশনে রোগীদের সেবা দিয়েছে রোবট এবং কি মহাকাশ রোবট পাঠানোর দেশটির নাম জাপান। ভূমিকম্প প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধারের কাজেও এসব রোবট ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
জাপানের প্রথমবার গেলে তাদের পাবলিক টয়লেট দেখে অবাক হতে পারে। বাইরে থেকে ভেতরের সব দেখা যায় কাদের সাহায্যে তবে চিন্তার কিছু নেই ভেতরে গিয়ে লক করে দিলেই বাইরে থেকে সবটি ব্লার হয়ে যাবে। তবে ভেতরের ব্যক্তি ঠিকি বাইরের সব দেখতে পাবে। জাপানে বাইসাইকেল রয়েছে প্রচুর সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে অটোমেটিক আন্ডারগ্রাউন্ড সুবিধা। এজন্য কার্ড বানিয়ে নিতে হয় কার্ড স্ক্যান করে সাইকেল রাখলে তা প্রযুক্তির সাহায্যে অটোমেটিক আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং প্লেসে চলে যায় নিরাপদে যত্নের সাথে থাকে নির্দিষ্ট জায়গাতে। আবার কার্ড স্কান করলে অবস্থান থেকে উপরে উঠে আসে ব্যক্তির কাছে সাইকেল টি। জাপানের চাষের কাজ হয় আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যানেলে কোন জায়গায় যাওয়া যেনো তারা ফেলে রাখতে রাজি নয় সবই সম্ভব জাপানিদের কাছে।
0 মন্তব্যসমূহ